সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠা অ্যাক্টিভিস্ট আহেদ তামিমিকে (২২) গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সোমবার (৬ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লার নিকটবর্তী নবী সালেহ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন পশ্চিম তীরজুড়ে একাধিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে আহেদ তামিমিকে। তিনি বলেন, ‘তামিমিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তামিমির মা আনাদোলু বার্তা সংস্থাকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বাড়ি তল্লাশি করে পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। গত সপ্তাহে শহরে অভিযানের সময় তামিমির বাবাকেও ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেফতার করেছে। তিনি কোথায় এবং কী অবস্থায় আছেন তা জানা নেই।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পশ্চিম তীরে অবৈধ সেটেলারদের ‘হত্যা’র আহ্বান জানিয়েছেন আহেদ তামিমি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিমির মা। তিনি বলেন, ‘আহেদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে এমন বেশ কয়েকটি ফেক পেজ রয়েছে, যার সঙ্গে আমার মেয়ের কোনও সংযোগ নেই।’
এদিকে, আহেদ তামিমির গ্রেফতার উদযাপন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা—‘তার হাসি এখন কোথায়?’
২০১৭ সালে ইসরায়েলি সেনারা তার ভাইকে গ্রেফতার করতে বাড়িতে এলে তাদের সঙ্গে তামিমির সংঘর্ষের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই সময় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক ওঠেন আহেদ তামিমি।
ওই বছরের ডিসেম্বরে তামিমি, তার মা এবং ২০ বছর বয়সী চাচাতো ভাই নুরের পাশাপাশি আরও অনেককে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছিল। হামলা, উসকানি এবং পাথর নিক্ষেপের ঘটনাসহ ১২টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে আট মাস কারাগারে রাখা হয়েছিল তাকে।
সুত্রঃ ট্রিবিউন বাংলা