মাগুরা সদর উপজেলা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের’ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আলমখালী যাত্রী ছাউনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব খুলনা-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে ঈষান হায়দার (২৮) ও বরিশালের মানরাতুল কুশুরিয়া গ্রামের প্রয়াত আব্দুল কুদ্দস বারীর ছেলে আব্দুল করিম (২৭)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ বলেন, গোপন খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন থেকে চারজন সদস্য পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, “গ্রেপ্তাররা আফগানিস্তানের তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের’ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে নানা উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্য শুনিয়ে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করতেন।
“এ ছাড়া বিভিন্ন উগ্রবাদী বই ও ভিডিও সরবরাহ করতেন। পাশাপাশি মসজিদ, বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপনে সভা করে আসছিলেন। ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের জন্য সদস্যদের উগ্রবাদী করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।”
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ঈষান হায়দার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তিনি একই দলের ইয়াকুব হুজুরের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের যোগদান করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
ঈষান পাবনা জেলার দাওয়াতি শাখার প্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা ফিরোজ।
তিনি আরও বলেন, “অপর গ্রেপ্তার আব্দুল করিম পেশায় মুদি দোকানি। তিনি ঈষান হায়দারের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের যোগদান করেন। তিনি বরিশালে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা পাশাপাশি নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন।”
গ্রেপ্তারদের নামে আগে থেকেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে; এ কারণে তারা স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম