নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দলের’ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। শনিবার (২৫ নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানাধীন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন মো. মশিউর রহমান ওরফে রাসেল (৩৭), আবু সুফিয়ান (২০), সালা উদ্দিন (৪৩), আলাউদ্দিন (৩১) ও মো. জুলহাস হোসেন ওরফে জুলাস (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোনসহ বিপুল পরিমাণ সাংগঠনিক দলিলপত্র জব্দ করা হয়।
এটিইউ জানায়, তারা বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করাসহ দেশের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে করে আসছিল।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বাড়িধারায় এটিইউ’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউ’র অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) এস এম হাসনুল জাহিদ।
তিনি বলেন, গ্রেফতার পাঁচ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দলের’ সক্রিয় সদস্য। তারা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়া তারা জনসাধারণের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি, ধর্মীয় উগ্রবাদী মতার্দশ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকেসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে মশিউর রহমান, আবু সুফিয়ান ও আলাউদ্দিন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দলের’ জেলা নায়ক। সালাউদ্দিন জেলা প্রতিনিধি এবং মো.জুলহাস হোসেন ওরফে জুলাস সদস্য হিসেবে সংগঠনকে সমর্থন, সংগঠনের জন্য চাঁদা প্রদান ও চাঁদা উত্তোলন, পরিকল্পনা ও প্ররোচনার দায়িত্ব পালন করে আসছিল। তারা ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাকে পুঁজি করে ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের আদর্শের অনুকূলে সদস্য সংগ্রহ করে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তাদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
গ্রেফতার আসামিরা ও তাদের পলাতক সহযোগীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে করে আসছিল৷ তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন