নভেম্বর মাসে ১৯১ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৮ কন্যাসহ ৩৬ জন। তারমধ্যে তিন কন্যাসহ সাত জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, নভেম্বর মাসে ৮৬ জন কন্যা এবং ১০৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে চার জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে আট জন কন্যাসহ ৯ জন। পাচারের শিকার হয়েছে এক জন। চার জন কন্যাসহ সাত জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে, এরমধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক জন কন্যাসহ তিন জনের।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে আট জন, এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে তিন জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই জন কন্যাসহ ১২ জন। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক জন। এক জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
পাঁচ জন কন্যাসহ ২০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আট জন কন্যাসহ ১৮ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে এক জন কন্যাসহ তিন জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। তিন জন কন্যাসহ চার জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও তিন জন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। দুই জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে।
এদিকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই জন কন্যা। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে একটি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে একটি। এছাড়া দুই জন কন্যাসহ ৯ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক