আগামী বছরের গোড়াতেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে যেমন নামছেন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খান, তেমনই এবার ভোট ময়দানে কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদ। বাবা, হাফিজ সঈদের দল পিএমএমএল-এর টিকিটেই প্রার্থী হবেন তালহা। যা পাকিস্তানের ভোট রাজনীতিতে বিশেষ চমক বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ (পিএমএমএল)-এর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদ হলেও বর্তমানে দলের সভাপতি খালিদ মাসুদ সিন্ধু। তাঁর দাবি, তাঁরা ক্ষমতায় আসতে চান না, দেশের মানুষের সেবা করতে চান এবং সলামি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানকে গড়ে তুলতে চান। হাফিজের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তালহা সঈদও। যদিও রাজনীতিক কারবারিদের দাবি, পিএমএমএল-এর তহবিল আসে লস্কর-ই-তৈবা থেকেই।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে হাফিজ সঈদের নাম উঠে আসার সঙ্গে-সঙ্গেই তাঁর কাজকর্ম নিয়ে কৌতূহলের উন্মেষ হয়েছে দেশ-বিদেশের জনগণের মনে। তালহা নিজেকে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা থেকে মুক্ত বলে দাবি জানালেও পূর্ববর্তী রিপোর্টে অন্য তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে।
মুম্বই হামলার মূল চক্রী ছিলেন হাফিজ সঈদ। পরবর্তীতে এই হামলার অন্যতম কাণ্ডারী হিসাবে তালহা সঈদের নামও উঠে আসে। গত বছরের এপ্রিলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তালহা সঈদকে জঙ্গি তকমাও দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা-র সিনিয়ার নেতা ও জামাত উদ দাওয়ার নেতা তালহা। জামাত উদ দাওয়ার নিষিদ্ধ হওয়ার পর এক কট্টরপন্থী সংগঠনের সঙ্গে নাম জড়ায়। ভারত ও আফগানিস্তান থেকে যুবদের জঙ্গিদলে নিয়ে যাওয়া, তহবিল জোগাড় করা এবং নাশকতার পরিকল্পনা করা থেকে সেটা বাস্তবায়িত করার পিছনে তালহা সঈদ সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলেছিলেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
তবে জঙ্গি তকমার পিছনেও তালহা সঈদের বিশেষ পরিচয় আছে। উচ্চশিক্ষিত তালহা দুটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। পাক পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক শিক্ষা ও কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবীয় ভাষায় স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি। তবে এবার সক্রিয় রাজনীতিতে হাফিজ-পুত্র কতটা দাগ কাটেন, সেটাই দেখার!
সুত্রঃটিভি9 বাংলা