২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ জন যুবককে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য করা হয়েছে। সংগঠনের উদ্দেশ্য পাহাড়ে শক্ত অবস্থান তৈরি, নিরাপদ সামরিক ট্রেনিং, দেশে নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা।
তারা সবাই নব্য উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সক্রিয় সদস্য। মো. হাবিবুবুল্লাহ ও মো. মাহামুদুল হাসান এই সংগঠনের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কথিত জিহাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে নিজ নিজ বাসা ত্যাগ করেন। আবদুল্লাহ, তাজুল ইসলাম ও জিয়াউদ্দিন সংগঠনের সদস্য হিসেবে কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করা নতুন সদস্যদের সাময়িক বাসস্থান ও প্রাথমিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতেন।
আবরারুল হকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশব্যাপী নিখোঁজের চাঞ্চল্যকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। পরে রামপুরার হাজিপাড়া এলাকা থেকে ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সংগঠনের দাওয়াতি বিভাগে কাজ করতেন এবং পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণের সময় কোনো জঙ্গি সদস্য অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা করতেন।
ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালী পাহাড়ি ক্যাম্পে এক মাসের বেশি অবস্থান করেন। মাসে একবার তিনি পাহাড়ি ক্যাম্প পরিদর্শন করতেন। ক্যাম্পে তিন ভাগে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। প্রথম ভাগে পাহাড়ের ক্যাম্পে শারীরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। দ্বিতীয় ভাগে যুদ্ধ কৌশল, যেখানে ডামি অস্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। তৃতীয় ধাপে পেট্রলিং শেখানো হতো।
তরুণদের দিতে হবে জঙ্গি বিরোধী মোটিভেশন কাউন্সিলিং
previous post
