শুধু লস্করের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যই ছিল না, লস্কর প্রধান তথা ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় নাম থাকা হাফিজ সইদের ডেপুটি ছিল সে। মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম। লাহোরে লস্করের সাংগঠনিক ঘাঁটি স্থাপনের দায়িত্বে ছিল ভুট্টাভি। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে আল-কায়েদাকে যুক্ত করার প্রয়াসও চালিয়েছিল সে।
২০০৮ সালের ২৬/১১ মুম্বই হামলার পিছনে তার বড় হাত ছিল ভারত বিরোধী জঙ্গি নেতার। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি), এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাফিজ আবদুল সালাম ভুট্টাভির মৃত্যু হয়েছে। সে শুধু লস্করের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যই ছিল না, লস্কর প্রধান তথা ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় নাম থাকা হাফিজ সইদের ডেপুটি ছিল সে। মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম। নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে, এতদিনে তারা খবরটি নিশ্চিত করতে পেরেছে। তবে, কোনও গুলির লড়াই বা সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ভুট্টাভির মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।
ইউএনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০২৩ সালের ২৯ মে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকেতে মৃত্যু হয়েছে ভুট্টাভির। তার হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সেই সময় পাকিস্তান সরকারের হেফাজতে ছিল।” ২০০৮ সালে চার দিন ধরে মুম্বই শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছিল লস্কর জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৩০০ জনের মতো আহত হয়েছিলেন। ওই হামলার কয়েকদিন পর, হাফিজ সইদকে আটক করেছিল পাক সরকার। ২০০৯ সালে অবশ্য মুক্তিও দেওয়া হয়। ইউএনএসসি জানিয়েছে, হাফিজ সইদের অনুপস্থিতিতে লস্করের প্রতিদিনের কার্যক্রম দেখাশোনা করত ভুট্টাভি।
তার আগে, ২০০২ সালের মাঝামাঝি, লাহোরে লস্করের সাংগঠনিক ঘাঁটি স্থাপনের দায়িত্বে ছিল ভুট্টাভি। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে আল-কায়েদাকে যুক্ত করার প্রয়াসও চালিয়েছিল সে। লস্করের কর্মকাণ্ডে আল কায়েদা অংশ নিক, অথবা তাদের সমর্থন দিক, এমনটাই চেয়েছিল সে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে হাফিজ সইদ পাকিস্তানেই রয়েছে। তাকে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাক সরকার। সম্প্রতি, তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের কাছে সরকারিভাবে অনুরোধ জানিয়েছে নয়া দিল্লি।
সুত্রঃ টিভি ৯ বাংলা