গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত।
নোয়াখালীর চাটখিলে নিজ প্রতিষ্ঠানের একাধিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (২৬) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের শঙ্করপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ও স্থানীয় আল ফারুক ইসলামী একাডেমি মাদরাসা চাটখিল শাখার শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের একজনের বাবা বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার ছেলেকে মাদরাসায় পড়ার জন্য পাঠিয়েছি। কিন্তু মাদরাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার ছেলেকে বলাৎকার করেন। শুধু আমার ছেলে না, শিক্ষক নামের ওই শয়তান অনেক শিক্ষার্থীর সাথে এমন করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
আরেকজন অভিভাবক জানান, ‘মাদরাসা থেকে ছুটিতে আজ তার ভায়রার ছেলে মাদরাসার আবাসিক হোস্টেল থেকে বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে সে তার মায়ের কাছে শিক্ষকের নিকট বলাৎকারের শিকার হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানায়। উপজেলার চারজন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মিলে তারা দুপুরে মাদরাসায় আসেন।’ মাদরাসার দায়িত্বরত পরিচালক এই শিক্ষক গত তিন মাস যাবত মাদরাসায় অনুপস্থিত বলে জানান বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আরেকজন শিক্ষার্থীর মা কালবেলাকে বলেন, ‘তিন মাস আগেও তিনি এই হুজুরের বিরুদ্ধে মাদরাসার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এসব কিছু অভিভাবকদেরকে না বলার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে নানান রকম ভয় দেখানো হতো।
মাদরাসাটির পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আজকে দুপুরে অভিভাবকের কাছ থেকে প্রথম সাইফুল ইসলামের নামে অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের শাহাপুর শাখায় একজন শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে সে গত এক সপ্তাহ যাবত আমাদের শাহাপুর শাখায় ক্লাস নিচ্ছেন।’
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করেছেন। পরে ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় অভিযান চালিয়ে আল ফারুক মাদরাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নোয়াখালীর আদালতে পাঠানো হবে।
সুত্রঃ দেশান্তর