বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন মতে, সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে মোট ২০৯ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৩ জন কন্যা, ছয় জন নারীসহ মোট ২৯ জন। তার মধ্যে আট জন কন্যাসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে এক জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ও দুই জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও সাত জন কন্যাসহ ১০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। উক্ত এক মাসে ৮৩ জন কন্যা এবং ১২৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হন।
প্রতিবেদন মতে, গত এক মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এক কন্যাসহ চার জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন তিন কন্যা ও দুই নারীসহ পাঁচ জন। এ সময় বিভিন্ন কারণে আট জন কন্যাসহ ৪৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। একই সময় নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে একটি। অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক কন্যাসহ পাঁচ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন দুই জন। এর মধ্যে এক জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। উক্ত সময় যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চার জন। এর মধ্যে দুই জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদন মতে, গত এক মাসে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আট জন, এর মধ্যে দুই জন কন্যা। তিন জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও উক্ত সময় তিন জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, এর মধ্যে এক জন কন্যা। এ সময় ছয় জন কন্যা ও ১৯ জন নারীসহ ২৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ছয় জন কন্যা ও ১৮ জন নারীসহ মোট ২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চার জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়—এ সময় তিন জন কন্যাসহ চার জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। একই সময় তিন জন কন্যাসহ চার জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। এ সময় বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে একটি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে চারটি। এছাড়া তিন জন কন্যাসহ সাত জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক