প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতা খুলেই চোখে পড়ে অমুক মাদ্রাসায ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, তমুক মাদ্রাসায় মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার। শিশুর প্রতি এই ধরনের পৈশাচিক, নির্মম, অমানবিক যৌন নিপীড়ন। এই জঘন্য ঘৃণ্য অপরাধের জড়িত আছে মাদ্রাসা ব্যবসায়ে নিয়োজিত লেবাসধারী উপকারভোগী ধর্মজীবী শ্রেণির কিছু মানুষ। অপরাধকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা বেশ পটু ‘অঘটন’ বা ‘অপকর্ম’ নাম দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয় এবং নিজেরা ‘মিটিয়ে ফেলার’ ব্যবস্থা করে। সুশীলসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, আমলা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে তেমন স্বচ্ছার হতে দেখার যায় না কারণ কোন এক অদৃশ্য স্বার্থের টানে বা ক্ষমতার মসনদে বসতেই তাদের এই নিরবতা। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন।
মাদরাসায় শিশুর প্রতি যৌন, নির্যাতন ও সহিংসতার তথ্য গুলো সমাজকর্মী,মানবাধিকারকর্মীর ও ব্লগারেরা তুলে ধরার চেষ্টা করলে লেবাসধারী ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীরা এই অপরাধগুলো আড়াল ও অস্বীকার করে বিরল অঘটন বলে অ্যাখিয়ত করে এবং পাল্টা ‘ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ এই অভিযোগে বয়ান করে।
মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীদৈর উপর যৌন নিপীড়ন, বলাৎকার নির্মূলে আনতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন। পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকদের আরো বলিষ্ঠ ভুমিকার রাখতে হবে। তা না হলে ধীরে ধীরে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা এই বিকৃত যৌন নির্যাতনে নিপীড়িত হয়ে বড় হয়ে হতে পারে ভয়ানক বিকৃত রুচির মানুষিকতা যা ধাবিত করতে পারে অপরাধের দিক
