সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে এই ভয়াবহ অপরাধটি ঘটানোর পর ধর্ষকের সাথে বিয়ে হওয়া কতটা নৈতিক বা অসম্মানজনক, তা চিন্তা করতে হবে নিজের বা নিজের পরিবারের ক্ষেত্রে ঘটলে কী হতো, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে নিজ পরিবারের কারো সাথে যদি এই অপরাধ ঘটে থাকে, তাহলে সেই পরিবার কি ধর্ষণের শিকার তার কন্যা বা বোনের সাথে ধর্ষণকারীর বিয়ের রায়কে স্বাগত জানাতে পারবে? যে নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে, সে কিভাবে ধর্ষণকারীর গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে?
একটি মেয়ের জন্য কতটা অপমানজনক ও ভয়ের, তা পরিবার ভাবেই না। ভয়ংকর একজন দানবের সাথে তাকে সহবাস ও বসবাস করতে বাধ্য করা হয়। মেয়েটির মনে সারা জীবেনের জন্য একটি দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে ধর্ষক পুশর সাথে সংসার করতে হবে। মনের স্মৃতির অ্যালবাম খুললে পড়বে স্বামী নামের ঐ পশুটি তাকে বিয়ের আগে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছিল এটা কি একজন নারীর জন্য সম্মানজক?র্নিঃসন্দেহে তার বিবাহিত জীবনেও এভাবেই ধর্ষণের শিকার হতে থাকবে। অন্যদিকে অপরাধীরাও ভাবে ধর্ষণ করলে বিচারের পরিবর্তে বিয়ের পথ তো খোলা থাকলোই। বিয়েটাকে অপরাধীরা কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে।
সমাজ কিভাবে ধর্ষণের মতো এতবড় একটি অপরাধকে খুব সহজে মেনে নিতে পারছে? কেন একবারও ভাবছে না নিজেদের অবস্থান থেকে। বাংলাদেশে ধর্ষণ এত বেশি হারে হচ্ছে যে শিশু থেকে বয়স্ক নারী, বালক, প্রতিবন্ধী নারী, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী কেউ বাদ যাচ্ছে না। ইতর প্রকৃতির লোকজন সুযোগ পেলেই ধর্ষণ, যৌন হয়রানি চালিয়েই যাচ্ছে।
ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে কতটা নৈতিক ও সম্মানজনক?
See less
previous post
