পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে হাফেজ মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে দেবীগঞ্জ পৌর শহরের আলহেরা মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। সেইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশে মাদ্রাসার ভুক্তভোগী ৬ ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান নীলফামারী সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গোড় গ্ৰামের বাসিন্দা। আলহেরা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আবাসিক ও অনাবসিক- দুই ব্যবস্থাতেই পাঠদান করে আলহেরা মাদ্রাসা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তারা পুলিশকে না জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় অবস্থান নিলে বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনার খবরে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাত ৮টার দিকে মাদ্রাসায় জড়ো হন তারা।
পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বিবেচনায় ৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতা চায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
দুই বছর আগেও এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে তিনি এই অপকর্ম করতেন বলে সেসময় অভিযোগ পাওয়া যায়।
আলহেরা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই প্রধান বলেন, ‘৭/৮ বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করছেন মিজানুর রহমান। মঙ্গলবার এক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলে, ওইদিনই তাকে জরুরি মিটিংয়ের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়।’
দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
সুত্র: নিউজ বাংলা ২৪.কম