বাংলাদেশে সহজ-মানুষেরা ইসলামিক বা ধর্মীয় শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব. দিয়ে থাকে। শহর-গ্রামের দরিদ্র মধ্যবিত্ত শ্রেণিসহ প্রত্যেক অভিবাবক চান, তাদের সন্তান-সন্তত্তিকে মাদ্রাসা, বা হাফেজখানায় পাঠিয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়ে নিজেদের ও তাদের সন্তানদের ইহকালের সুখ ও সমৃদ্ধি এবং পরকালের মুক্তির পথ নিশ্চিত করতে, তাই তারা তাদের কোমলমতি শিশুদের মাদ্রাসা, হিফজখানায় ভর্তি করিয়ে দেয়। এছাড়াও এতিম শিশু, অসহায় দরিদ্র মানুষদের বাচ্চারা প্রধানত শিক্ষালয় হিসাবে ধর্মীয় শিক্ষাকে বেছে নেয়। কিন্তু যখন দেখি গ্রামাঞ্চলের মাদ্রাসা বা হাফেজী শিক্ষা ব্যবস্থার পদ্ধতির দিকে। সেখানে মাদ্রাসার শিক্ষক বা হাফেজ খানার স্বার্থন্বেষী কিছু শিক্ষক যারা নিজেদের প্রিন্সিপাল, সুপার, অধ্যক্ষ নামে পরিচয় দেয় এবং কোমলমতি শিশুদেরকে তাদের নিজেদের স্বার্থে ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য মানসিক, শারীরিকভাবে নির্যানের মাধ্যমে শিশু ছাত্রদের ৪/৫ জনের একেকটি টিম করে মানুষের ঘরে ঘরে, দেকানে দোকানে চাল বা টাকা আদায় করার জন্য রাস্তাা নামিয়ে দিয়েছে বা দিচ্ছে। সোজা ভাষায় বলতে গেলে, বলা যায় ” ভিক্ষাবৃত্তি “। ঐ ছাত্ররা কি মানসিক ভাবে ভিক্ষাবৃত্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে না ? প্রশ্ন হচ্ছে কোন অভিবাবক কি তার সন্তানকে শিক্ষার নামে ভিক্ষা করার জন্য মাদ্রাাসা বা হাফেজখানায় পড়াশুনা করাচ্ছেন? নিশ্চয় না। অথচ টাকা কালেকশন না করলে মাদ্রাসার শিক্ষক শিশুদের মারধর করাসহ খাবার বন্ধ করে দেয়। দেশের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাটে আগত পথচারীদের কাছে তারা হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও ওয়াজ মাহফিল সফল করার জন্য ছোট ছোট বাচ্চারা মাহফিলের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি বা কালেকশন করে নামদামী বক্তা আনে। বেশির ভাগ বক্তারা ওয়াজের নামে অন্য হুজুরের নামে বদনাম আর হাসির খোরাক জমায়। আর তারা হেলিকপ্টারে গিয়ে ঘুরে আসে আর পেট ও পকেট ভারি করে ফিরে। আর কোমলমতি শিশুরা প্রতিনিয়ত লাঞ্চনা,নির্যাতন সহ্য করে শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক ভাবে ভিক্ষাবৃত্তির ধাবিত হয়।
