বর্তমানে গ্রাম্য সালিশী সমাজ ও বিচার বিভাগ ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীকে সম্মানজনকভাবে বেঁছে থাকার জন্য ধর্ষকের সঙ্গেই বিয়ে দিয়ে আইনি জটিতা নিষ্পত্তি করেন। আদতে ধর্ষককে বাঁচাতে ওই নারী চরিত্র হনন করা হয়। ধর্ষণের অকাট্ট প্রমাণ থাকলেও সমাজ ও বিচার ব্যবস্থা ধর্ষককে রক্ষা করতে ওই ধর্ষকের সঙ্গেই বিয়ে ব্যবস্থা করে। ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবার দূর্বল হলে তো কথাই নেই মামলা তো দূরে থাক কোর্টের বারান্দায় ও যেতে পারে না স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকি ও চাপের ভয়ে। যার ফলে সমাজের প্রভাবশালীদের চাপে ভয়ে বাধ্য হয়ে ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ের ঘটনা ঘটে। আদালতে মামলা হলে এমন ঘটনা প্রায় পত্রিকায় দেখা যায় যে আসামীর সাথে ধর্ষণের শিকার নারী বিয়ে করতে চাইলে আদালত তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন এবং ওই ধর্ষককে জামিন দেন। পরে যখন পত্রিকা খবর আসে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের পরে ধর্ষণে শিকার নারীকে শারিরীক নির্যাতন তালাকের হুমকি দেয় তখন মনে হয় অপরাধী অপরাধের অনুশোচনায় নয় বিচারে নিজের শাস্তি থেকে বাচঁতে আইনের এই দূর্বল জায়গা আবেদন করে ছাড় পেয়ে যায় আর ধষর্ণের শিকার নারীটি ধর্ষণের দুঃসহ স্মৃতি আজীবন তাঁর সঙ্গী হয়।
