পটুয়াখালীর দশমিনায় ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিজান মৃধা ও তার বাবা-মাকে আসামি করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার (১ জুন) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দশমিনা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সিজান মৃধা দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের নজরুল মৃধার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ১১ বছরের ওই শিশুটি দশমিনা আলীপুরা ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। আসামি সিজান ভুক্তভোগী শিশুটিকে বিদ্যালয়ে এবং প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে মাঝেমধ্যেই উত্ত্যক্ত করতো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সিজান মৃধা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলতে প্রাণের ভয় দেখায় এবং বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েববার ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
শিশুর শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে পরিবার বিষয়টি জানতে আরে এবং অভিযুক্ত সিজানের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোনো প্রতিকার পায় না। প্রভাবশালী সিজানের পরিবার উল্টো শিশুটিকে নিয়ে তার পরিবারকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলে।
এ ঘটনার প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বাদী হয়ে গত ২৬ মে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
দশমিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় আমরা সরাসরি কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে দশমিনা থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনগত সহায়তা প্রদান করবে।
সুত্রঃ ঢাকা পোষ্ট