সভ্যতা-মানবতা ও সুস্থ জীবনবোধের পরিপন্থিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সুস্থ-সুন্দর স্বাভাবিক জীবন গড়ে তোলা কেবল নিজের জন্যই নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্যই প্রয়োজন, এসব ব্যাপারে সর্বাগ্রে জরুরি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ঐকমত্য। চরমপন্থি কিংবা জঙ্গিদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি কঠোরভাবে বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের ওপরও জোর দেওয়া জরুরি। বহুরূপী উগ্রবাদীরা কৌশল পাল্টিয়ে নিজেদের সুরক্ষা বলয় সৃষ্টি করার পাশাপাশি গোপন কার্যক্রম কৌশলেই সক্রিয় থাকার চেষ্টা প্রতিনিয়ত সোচ্চার এর নজিরও কম নেই। জঙ্গি দমন অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকা অবস্থায়ও তাদের তৎপরতা উদ্বেগজনকভোবে বৃদ্ধি হতে দেখছি। বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে গভীরভাবে উপলব্দি করা জরুরি। উগ্রবাদীদের সহায়তা ও অর্থায়ন কখনোই পুরোপুরি বন্ধ হয়না, খোলস পাল্টিয়ে নতুনভাবে আর্বিভুত হয়। এ সব জঙ্গিগোষ্টির জনবল সংকটও কখনও স্থায়ী হয়নি, এ দুটি বিষয়ের পেছনে কিছু বাস্তবিক প্রণোদনা আছে। যা উগ্র, অসহিষ্ণু ও জবরদস্তিমূলক মতাদর্শের সঙ্গে রাজনীতির সম্পৃক্ততা এবং এর প্রতি তরুণ জনগোষ্ঠীর একাংশের তীব্র আকর্ষণের বিষয়টিও অতীতের প্রেক্ষাপটে বর্তমানেও আমলে রাখা বাঞ্ছনীয়।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিকল্প নেই। জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্রের উৎস সন্ধানক্রমে মূল হোতাদের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থায় প্রতিবিধান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিকল্প নেই। জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্রের উৎস সন্ধানক্রমে মূল হোতাদের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থায় প্রতিবিধান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
