বিশ্বে এখনও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানই জঙ্গি গোষ্ঠীর সবচেয়ে নিরাপদ আস্তানা এবং এই দেশ দুটিই বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ ‘রপ্তানি’ করে বেড়াচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনের অধিকাংশই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান-কেন্দ্রিক। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রাজনৈতিক সুবিধাবাদের জন্যই কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আদর্শিক এবং সামাজিকভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ধর্মীয় উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে। তাই এ দেশেও এক সময় এই উগ্রবাদ জঙ্গিবাদে রূপ নিচ্ছে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে হয় সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সেই হামলায় ২২ জন নিহত জন, যার অধিকাংশই বিদেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে মারা পড়েন শীর্ষ জঙ্গিনেতাদের অধিকাংশ। তারপর জঙ্গি তৎপরতা স্তিমিত হয়ে এলেও সম্প্রতি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও ইমাম মাহমুদের কাফেলা নামে নতুন দুটি দল গঠিত হওয়ার খবর দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন নামে অথবা নতুন নামে হয়তবা যারা আগে জঙ্গিবাদের উদ্বুদ্ধ ছিল, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বা বিভিন্নভাবে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করতে বা সদস্য সংগ্রহের কাজে তাদের ‘অ্যাক্টিভ’ থাকার সম্ভবনা রয়েছে।” জঙ্গি সংগঠনগলোর মধ্যে যারা ‘অ্যাক্টিভলি’ কাজ করতে চান, তারা কিন্তু বিভিন্ন সময় একসাথে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায়’ যুক্ত হচ্ছে । এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলাম থেকে অর্থায়নে কাজ শুরু করে। সম্প্রতি নেত্রকোনায় সদর উপজেলায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায়’ এর জঙ্গি আস্তানা ও জঙ্গিদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির সন্ধান মিলল। যে জঙ্গি আস্তানা থেকে পিস্তল, গুলি, ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি, মোবাইল, রামদা, জিহাদি বইসহ ৮০ ধরণের মালামাল জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে অভিযানের সময় দুইটি শক্তিশালী আইআইডি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়। পরিশেষে বলি ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিরা নতুন দল গঠনে তৎপর হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের একটি ম্যাসেজ জঙ্গিরা নিষ্ক্রিয় নয় তারা বিভিন্নন সময়ে ভিন্ন নামে আর্বিভূত হয়। সর্তক থাকুন।
জঙ্গিবাদ উত্থান: ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিরা নতুন দল গঠনে তৎপর
previous post
