বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই কলেজছাত্রের নাম মহম্মদ হবিবুল্লাহ। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গতকাল রোববার রাতে জানিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মিরপাড়া থেকে হবিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবার বা তাঁর আইনজীবীর তরফে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা যায়, সন্ত্রাসী সন্দেহে ভারতে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের অধিকাংশই বেশ কয়েক বছর জেলে থাকার পরে নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং বেকসুর খালাস পায়।
মহম্মদ হবিবুল্লাহ আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আনসার আল ইসলামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার যোগাযোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) মিরপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হবিবুল্লাহকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, মুঠোফোন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ জানায়, হবিবুল্লাহ পশ্চিমবঙ্গে আনসারের একটি নির্দিষ্ট বিভাগের জন্য কাজ করতেন।
সম্প্রতি ‘শাহাদাত’ নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী গজিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এই জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয়। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার-আল-ইসলামের’ সঙ্গেও এই সদ্য গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন ‘শাহাদাতের’ যোগসূত্র রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘুর পথে আল-কায়দার সঙ্গেও এদের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং এসটিএফের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহম্মদ হবিবুল্লাহকে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকশা থানায় নিয়ে গেছেন। অধিকতর তদন্তের জন্য তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হবে। তবে এর আগে তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
সুত্রঃ প্রথম আলো