কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রাজপথে নারী শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নারীদের যে অগ্রণী ভুমিকা সত্যি প্রসংসার দাবী রাখে। নারী যে শুধু মুখ বুঝে অন্যায় সহ্য করবে আগামীতে সেটা আর হবে না। কারণ সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদেরও একটি বড় ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। স্কুল-কলেজের ছাত্রী, শিক্ষিকা, পেশাজীবী, গৃহিণী, মা– বিভিন্ন পরিচয়ে এ আন্দোলনে নারীরা কোনো না কোনোভাবে যুক্ত হন। এ ভূখণ্ডের ইতিহাসও সে কথাই বলে। সমাজে যত পরিবর্তন এসেছে, সেখানে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। হেনস্তার শিকার হয়েও নারীরা দমে যাননি, ঘুরে দাঁড়িয়েছেন– এটাই আমাদের ইতিহাস।
সামাজিকভাবে রাজনৈতিক দিক থেকে নারীরা এখন পিছিয়ে নেই। নারী নেতৃত্বের দিকে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছি আমরা। নারীরা স্লোগান দিচ্ছে, সামনে থাকছে। স্বাভাবিকভাবে দেখা যায়, নারীদের ঘিরে টার্গেট থাকে। যে কোনো হামলা, যে কোনো নিপীড়নের ক্ষেত্রে নারীকে টার্গেট করা হয়। প্রতিবাদের সময় এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা নারী শিক্ষিকাকেও টার্গেট করা হয়েছে। এবারের আন্দোলনে নারীদের ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে। আবার তারা নিপীড়নের শিকারও হয়েছেন। তবে দুটো বিষয় নিয়ে বলা যায়। একটা হলো, হলে থাকলে ছেলেদের মারধর করা হয়। এ ক্ষেত্রে নারীদের সামনে আসতে দেওয়া হয় না। এবার দেখা গেছে, নারীরা সব পরিস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামনে ছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন।
