দেশের বিভিন্ন কারাগারে একের পর এক বিদ্রোহ ও কয়েদি পালানোর ঘটনা উদ্বেগজনক। গত ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনে বৈস্যমহীন কোটা আন্দোলনকারীরা এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার নতুন উৎসবে মেতে উঠেছে। তেমনি পুলিশের ওপর জনতার ক্ষোভ প্রকাশে পুলিশ তার কার্যক্রম ঘুটয়ে নিয়েছে। এই সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা অরাজকতাও সৃষ্টি করেছে। সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতকারীরা ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে কিন্তু দেশের আইন-শৃংখলার অবস্থা ভয়াবহ খারপ হচ্ছে, , সারাদেশে দুর্বৃত্তরা যে যার মত লুটপাট, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ, করছে। সব ছাড়িয়ে ভয়ের যে কারণ হচ্ছে দেশে ভিন্ন কারাগার থেকে জঙ্গিসহ ভয়ংকর আসামীরা পালিয়ে যাচ্ছে। কারাগারগুলো থেকে যদি অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকে, তাহলে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। শুক্রবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্রোহ দেখা দেয়। এর আগে গাজীপুর ও জামালপুর কারাগারের বন্দিরা বিদ্রোহ করেছে। গাজীপুর জেলা কারাগারের ভেতরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বন্দিরা বিদ্রোহ শুরু করে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরও আগে মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিক্ষোভের সময় কারারক্ষীদের জিম্মি করে ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে যায়। বন্দি পালানো ঠেকাতে কারারক্ষীরা গুলি ছুড়লে ছয়জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে তিনজন জঙ্গি। সবাই সর্তক থাকুন ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে যেন কোন জঙ্গিবাদের স্থান না হয়।
