ঢাকার আদালত পাড়ায় ‘পুলিশকে স্প্রে মেরে’ মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মহানগর পুলিশ।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আসামিদের পালিয়ে যাওয়া ঘটনায় দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের (ক্রাইম এন্ড অপস্) নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস্), যুগ্ম কমিশনার (সিটিটিসি), উপ কমিশনার (গোয়েন্দা-লালবাগ) এবং অতিরিক্ত উপ কমিশনার (সিআরও) সদস্য হিসেবে থাকবেন।
রোববার দুপুরে পুরান ঢাকার আদালত পাড়া থেকে পালিয়ে যায় জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব।
পলাতক মইনুল হাসান শামীম এবং আবু সিদ্দিক সোহেল
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এ দুই সদস্যকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পলাতক জঙ্গিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য রেড অ্যালার্ট জারি করে সীমান্ত এলাকায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েকজন জঙ্গি, যাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম, আমি যতটুকু জানি, আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুজন ছিল। বিচারকের সামনে হাজিরা শেষে আবার যখন তাদের নির্দিষ্ট রুমে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের কেমিকেল ছুড়ে অজ্ঞান করে তাদের নিয়ে পালিয়ে যায় তাদেরই কয়েকজন সমর্থক।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। যদি কারো অবহেলা থাকে, গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছা করে এই কাজটি করে থাকেন, তার উপযুক্ত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। নিশ্চয় আমরা তদন্ত কমিটি করব, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমাদের পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে তাদের। শিগগির তাদের ধরতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
সুত্রঃ বিডি নিউজ ২৪.কম