প্রতীকী ছবি
ভারতের কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আবারও ধর্ষণের খবরে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এবার ভারতের রাজস্থানের যোধপুরে অবস্থিত সরকারি মহাত্মা গান্ধী হাসপাতাল চত্বরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। প্রতাপ নগর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ অনিল কুমার জানিয়েছেন, গত রোববার সন্ধ্যায় মায়ের বকাঝকা শুনে বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে যায় ওই কিশোরী। তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় তার সন্ধান করেছিল, কিন্তু তারা তাদের মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে সোমবার সুরাসাগর থানায় নিখোঁজ ব্যক্তির ডায়েরি করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল চত্বরে মেয়েটিকে একা পেয়ে ওই দুই যুবক তার কাছে যায়। তারা তার সঙ্গে কথাবার্তা বলছিল এবং তাকে হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য ডাম্পইয়ার্ডের পিছনে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে তারা অপরাধটি করেছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ হাসপাতালের কাছে ওই কিশোরীকে খুঁজে পায় এবং তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে ভুক্তভোগী নিজেই তার বাবা-মা এবং পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে একটি ফরেনসিক দল আলামত সংগ্রহ করেছে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য দল গঠন করা হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার ড. ফতাহসিং ভাটি জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এখনও কিছু জানায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানা গেছে যে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আগে চুক্তির ভিত্তিতে হাসপাতালে নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের ঘটনাস্থলের চারপাশে আলোর কোনও অভাব রয়েছে কি না সেটা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত আলো সহ সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ভারতে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে চরম আন্দোলন চলার সময়েও থেমে নেই বর্বরোচিত নির্যাতন। প্রতিদিনই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে উঠে আসছে নারী ও শিশু ধর্ষণের ভয়ানক সব ঘটনা।
সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল