যে গানটি প্রাণের সংগীত হিসাবে আপনি আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে গেয়েছি,যে সংগীত স্বাধীনতার সকল সূর্য সৈনিকের, যে সংগীতের মাধ্যনে স্বাধীন দেশের মাটিতে জাতীয় পতাকা উড্ডীন,যে সংগীত আমার মায়ের ভাষার মধুরতম অনুভুতি ব্যক্ত করছে, দেশের স্বাধীন দেশের পতাকার জন্য যে গানকে বেছে নিয়েছে স্বাধীনতাকামী মানুষ , আজ ৫৩ বছর পর তাঁর পরিবর্তন নিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করছেন যারা তাদের বোধদয় হোক।
আর যাকে বিতর্কীত করছেন তিনি আমাদের বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র,তিনি তাঁর রচনায়” নোবেল পুরষ্কার”এনেছেন,বৃটিশদের দেয়া নাইট উপাধি বর্জন করেছেন,তার প্রতিভা পর্বতসম, তার গানে কথায় কবিতায় যে মানবতা বোধের চিত্র সেটা বুঝবার ক্ষমতা হয়তো আমাদের নাই,তার লেখায় যে দেশাত্মবোধ তা সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে সমাদৃত, তাঁর কবিতায় ধ্বনিত হয়-
এসো হে আর্য, এসো অনার্য / হিন্দু মুসলমান। এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ,/ এসো এসো খ্রিস্টান। এসো ব্রাহ্মণ, শুচি করি মন/ ধর হাত সবাকার/ এসো হে পতিত, করো অপনীত সব অপমান ভার।”
আমরা সমালোচনার খাতিরে সমালোচনা করি,কোন কোন সমালোচনার ভাষাও সভ্যতা সংস্কৃতির পরিপন্থী যার দ্বারা নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন ,বলছি মানুষকে যেন মানুষ ভাবি,আমি মনে করি জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নয়, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি , আমরা সৃষ্টিশীল কিছু করতে না পারি আসুন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে যারা কাজ করছেন রাতকে দিন করে যাচ্ছেন তাদের গঠনমূলক কাজে তাদেরকে কাজ করার সুযোগ দেই,সাহস যোগাই,বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে কোন ভালোকিছু সৃষ্টির চিন্তা করি,যে কোন ভালো কিছু সৃষ্টিতে বহু সময় ও ত্যাগের প্রয়োজন, আর তার ধ্বংস করা যায় পলকে।আমরা যেন সভ্য জাতির মর্যাদা ধরে রাখতে পারি, জাগরণ ঘটুক মানুষের মনের।
