কলকাতা শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালটির লিফটে এ ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দ বাজারের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অঙ্কোলজি বিভাগের ওই নারী জুনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক তখন ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হাসপাতালের লিফটেই এক ব্যক্তি তার শ্লীলতাহানি করছেন বলে দাবি করছেন নারী চিকিৎসক। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। পরে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি জানান তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়ার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, হাসপাতালের প্রতিটি লিফটে অপারেটর নিয়োগ করা হবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে সশস্ত্র পুলিশকর্মী থাকবেন। হাসপাতাল চত্বরে অন্তত ১০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখা হবে বলে তাদের জানিয়েছে করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আরজি করের ঘটনার পর থেকেই দেশব্যাপী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চিকিৎসকেরা। বার বার উঠে এসেছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি। এমনকি ৯ অগস্ট আরজি করের ঘটনার পরেও কখনও মুম্বাই, কখনও উত্তরাখণ্ড, কখন জম্মুতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠে এসেছে। আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার কারণ হিসাবেও জানিয়েছিল, এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের মন্তব্য ছিল, এটি গোটা দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও পদ্ধতিগত সমস্যার বিষয়। সেই কারণে মামলাটিতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টিও উঠে এসেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রথম দিনের শুনানিতে। চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকলের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক