উগ্রবাদী নিত্য-নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ও তাদের তৎপরতা। বিগত সরকারের সময় ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে তারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে তারা যোগাযোগের বড় মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করলে বর্তমানে অর্ন্তবর্তী সরকারের সময় এই কার্যক্রম আরো প্রকাশ্যে হচ্ছে । এসব নতুন উগ্রবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় কলকাঠি নাড়ছে জামিনে কারামুক্ত জঙ্গিরা। সম্প্রতি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও ইমাম মাহমুদের কাফেলা নামে নতুন দুটি দল আরো সক্রিয়। জামিন পেয়েছেন নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী। পুরাতন জঙ্গি সংগঠনগলোর মধ্যে যারা ‘অ্যাক্টিভলি’ কাজ করতে চায়, তারা একসাথে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায়’ যুক্ত হচ্ছে । এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলাম থেকে অর্থায়নে কাজ শুরু করছে। পুরোনো ও নতুন করে গজিয়ে ওঠা সব নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীরই সাধারণ চরিত্র হচ্ছে-রক্তপাতের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে ‘ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা’র প্রচারণা। যেটি তারা করে থাকে ধর্মশাস্ত্রের কোনো কোনো অংশের বিকৃত উপস্থাপনের মাধ্যমে। সশস্ত্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জিহাদি মনোভাব উসকে দেওয়ার কাজ করে থাকেন উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন ব্যস্ত সদ্য বিপ্লবী দেশের বিভিন্ন সেক্টরের সংঘাত নিয়ন্ত্রণে। এই সুযোগে মতাদর্শ প্রচারকারীরা কিন্তু আবার স্ব-মহিময়া ফিরছেন নতুন নামে জঙ্গি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে।
উগ্রবাদী নিত্য-নতুন জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
previous post
