গত ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের পর দেখা যাচ্ছে নারীর বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু উগ্রবাদী মৌলবাদী চেতনার আদর্শের কিছু পুরুষ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীর পোষক ও স্বাধীনভাবে চলাচলে বাধা, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ উদ্বেগজনক হারে লক্ষ যাচ্ছে । নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।পুরুষ মানুষ মানবিক না হলে নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরায় শঙ্কা ও আতঙ্ক দূর হবে না। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি, সাম্প্রতিক সময়ে সমাজের যৌনকর্মী ও ভিন্ন লিঙ্গ পরিচিতির মানুষের ওপর দলভিত্তিক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধির পরিস্থিতিকে প্রতিকারে সরকারের সাথে সচেতন সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার গুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা খুবই প্রয়োজন। সমাজ-রাজনীতি পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় নারীদের ভূমিকা দেখা যাচ্ছে সামান্য। দীর্ঘ আন্দোলনে নারীরা শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে এলেও পাহাড়ি ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নারীরা এখনও প্রান্তিক অবস্থায় এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। নারী সমাজ অধিকারের বিষয়ে যত সচেতন হয়ে উঠছে, পুরুষ তত সহিংস হয়ে উঠছে। জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতিতে নারীর অবদান থাকলেও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।
নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে
S
previous post
