বাংলাদেশে নারীর শাড়ি পরা, পোষাক পরা, টিপ বা ওড়না নিয়ে সম্প্রতি নারীদের বিরুদ্ধে কটূক্তি, মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন ব্যাপক বেড়েছে। নারীর পোশাক নিয়ে সামাজিক শালীনতার দোহাই ,কোন কোন মতবাদী গুষ্টি ধর্মের নামে নারীর ফতোয়া চাপিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করছেন না। দোলা ( (ছদ্মনাম)নামে এক নারী হতাশ হয়ে বলেন ‘এক মাস ধরে আমাকে যতবার শুনতে হয়েছে– কেন আমি ওড়না পরি না, ওড়না কই, বেশরম; তা আমার সারাজীবনেও শুনতে হয়নি। যৌনকর্মীদের উপর বেড়েছে নির্যাতন। বোরকা পরিহিত নারী ও বাদ যায় না কটূক্তি থেকে সাম্প্রতিক সময়ে নারীর সঙ্গে ‘কটূক্তি’র বিষয়টি বেশি ঘটছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোশাককেন্দ্রিক বিব্রতকর মন্তেব্যে। নারীর পোশাক, চলাফেরা নিয়ে কথা বলা সমাজে নতুন কিছু নয়। নারীরা জামাকাপড় কী হবে, মেয়েরা কেমন করে চলবে– এ বিষয়ে বলে দেয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। নারীদের স্বাধীনভাবে চলাচলে একটা বিশেষ দলের অভিযোগ ছিল। তারাই আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভেতরের নারী বিদ্বেষটুকু উগরে দিচ্ছেন। নারী ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়ন, কটূক্তি প্রতিটি নিপীড়নের ক্ষেত্রেই ক্ষমতাশীন হয়ে থাকে, তারা পার পেয়ে যায়। বৈষম্য বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নারী-পুরুষ সবার অংশগ্রহণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ৫ আগস্টের পর যত সময় যাচ্ছে, নারী শিক্ষার্থীদের ভূমিকাকে অস্বীকার করার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সমন্বয়ক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান কম গুরুত্ব পাচ্ছে। এটা বাস্তবতা। এরপর পাবলিক পরিসরে বেশ কিছু নারী হেনস্তার ঘটনা সামনে এসেছে। তাই সময় এসেছে নারী নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিরোধের জন্য নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে সকল ধরনের বৈষ্যম, কুটক্তি, পোষাক নিয়ে অশ্লীন মন্তব্য প্রতিরোধের।
পোশাক নির্বাচনের স্বাধীনতা নারীর মৌলিক অধিকার
previous post
