গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বেড়েই চলেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থারটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল ভয়াবহ এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
জাবালিয়া এলাকায় ইউনিসেফের কর্মীরা পোলিও টিকাদান কর্মসূচি চালানোর সময় শনিবার হামলা চালানোর তথ্য পেয়েছেন বলেও জানান রাসেল। তিনি বলেন, সন্দেহজনক ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার জাবালিয়ায় হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় ইউনিসেফের কর্মীদের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৌভাগ্যবশত কোনো কর্মী আহত হননি। এ ঘটনা তাঁকে গভীরভাবে আহত করেছে বলে জানান তিনি। গাজায় বেসামরিক লোকদের ওপর যে নির্বিচারে হামলা চলছে, তার উদাহরণ হলো– পোলিও টিকাদানকেন্দ্র, ইউনিসেফের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। শনিবার তিনি বলেন, ইরান ও তার মিত্রদের ওপর যে হামলা, উভয়ের জন্যই বদলা নেবে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নবাদী শাসক– উভয় শত্রুদের জানা উচিত যে, তারা অবশ্যই দাঁতভাঙা জবাব পাবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বার্তা দিয়েছে, তারা যদি ইসরায়েলে ফের হামলা চালায়, তাহলে এবার ইসরায়েলকে তারা আটকাতে পারবে না। ইসরায়েলের নতুন পাল্টা জবাব হবে অনেক বড়। এতে তারা তাদের পারমাণবিক স্থাপনায়ও হামলা চালাতে পারে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র কিছু করতে পারবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এমনকি নিশ্চয়তা দিতে পারব না– এবারের হামলা হবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে।
অন্যদিকে সেনাবাহিনী বলেছে, শনিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলজুড়ে ১৩০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ সময় সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। ইতোমধ্যে ১০টি ড্রোনের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি লেবানন থেকে, তিনটি ইরাক থেকে চালানো হয়। তবে একটির উৎস এখনও অস্পষ্ট রয়েছে। সেনাবাহিনী এরই মধ্যে সাতটি ড্রোন আটক করেছে। খবর আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
সুত্র: কালেরকন্ঠ