দুই শিশুশিক্ষার্থীকে বলাৎকারের মামলায় নাজির হোসেন (২৮) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাজির সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে। উপজেলার লামাকাটা জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন নাজির।
দুই শিশুশিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় শনিবার উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম লামাকাটা গ্রামের এক ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এর আগে শনিবার সকালে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক নাজির হোসেনকে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
মামলার এজাহার ও বাদীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামাকাটা গ্রামের ১০ ও ১১ বছর বয়সি দুই শিশুকে দ্বীন শিক্ষার জন্য একই এলাকায় লামাকাটা-জঙ্গলবাড়ি একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় অন্য শিশুদের মতো।
মাদ্রাসাশিক্ষক নাজির হোসেন গত বুধবার রাতে প্রথমে ১০ বছর বয়সি শিশুশিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন। এরপর বিভিন্ন সময় রাতে ওই শিশুশিক্ষার্থীকে বলাৎকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে একই গ্রামের অপর এক ১১ বছর বয়সি শিশুশিক্ষার্থীকে একই কায়দায় শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন নাজির।
বিষয়টি ওই রাতে শিশুশিক্ষার্থী তার বাবাকে অবগত করেন। এরপর এলাকার লোকজন নিয়ে এসে মাদ্রাসাশিক্ষক নাজিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি ভুল হয়েছে স্বীকার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে অবগত করেন।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিকটিম শিশুশিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ যুগান্তর