যুক্তরাজ্যে পার্কের বেঞ্চে এক দুর্বল নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মোহাম্মদ আইডো (৩৫) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। লন্ডনের সাউথহল পার্কের সিসিটিভিতে বন্দি হয় বিভীষিকাময় সেই ধর্ষণের ঘটনা। যা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
যেখানে দেখা যায় তিন সন্তানের মা ৩৭ বছর বয়সি নাটালি শাটার শারীরিকভাবে দুর্বল অবস্থায় রাতে পার্কের একটি বেঞ্চে শুয়ে ছিলেন। এ সময় ওই ধর্ষকও একটি দুর্বল শিকারের খুঁজে পার্কে ছিলেন। পরে নাটালিকে নিজের শিকার বানান তিনি। এসময় অচেতন অবস্থায় থাকা নাটালিকে ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে নির্যাতন করেন ধর্ষক।
২০২১ সালের ১৭ জুলাই ভোরে হাটতে গিয়ে একজন পথচারী মৃত অবস্থায় নাটালিকে দেখতে পান। যা অনুসন্ধান করার পর বেরিয়ে আসে ধর্ষণের ঘটনা। যার রায়েই এবার যাবজ্জীবন শাস্তি পেয়েছে ওই ধর্ষক।
নাটালির মা, ডাঃ ক্যাস শটার ওয়েটম্যান মেয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নিজের উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি, নারীদের বিরুদ্ধে ‘ভয়াবহ’ সহিংসতা মোকাবেলার জন্য জরুরী পদক্ষেপের আহ্বান জানানোর ওপর জোর দিয়ে বলেন, অনেকে স্বাধীনভাবে হাঁটতে পারে না বা পাবলিক স্পেসে নিরাপদ বোধ করতে পারে না এসব কারণে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে আচরণ করব সে সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। সেখানে এমন কিছু লোক আছে যারা খুব বিচ্যুত এবং ভয়ঙ্কর উপায়ে কাজ করে চলেছে। আমি মনে করি তারা এটি থেকে মুক্তি পেতে পারে না। আর তা যদি হয় তবে আর কোনও মাকে এটি দেখতে হবে না।’
ধর্ষকের বিচারক বলেছেন, মিসেস শটার যখন দুর্বল এবং অচেতন ছিল তখন তার সুবিধা নেওয়া ছিল ‘দুষ্ট এবং সম্পূর্ণ বেপরোয়া আচরণ।’
এদিকে বিচারের সময় প্রসিকিউটর অ্যালিসন মরগান কেসি বলেছেন মিসেস শটারকে আইডো বারবার ধর্ষণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় গত ৪ আগস্ট ২০২১ সালে আইডোকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন যৌন কার্যকলাপ সম্মতিতেই করেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেল বিশ্লেষণ করে তার সত্যতা মেলেনি।
সুত্রঃ যুগান্তর