নেত্রকোনায় ইউনিয়ন পরিষদের (সংরক্ষিত) নারী সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সুজন মিয়া (৩৫) নামে ইউএনও অফিসের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পর থেকে এতদিন ধরে সুজন মিয়া পলাতক ছিলেন। শুনেছি তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে জামিনের কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর নেত্রকোনা মডেল থানায় এ মামলা হয়। তবে মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন সুজন।
অভিযুক্ত সুজন মিয়া জেলা সদরের সাতবেরিকান্দা গ্রামের মো. শুক্কুর মিয়ার ছেলে। তিনি আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মদন উপজেলায় বদলি হলেও সেখানে যোগদান করেননি।
মামলার এজহারে ওই নারী ইউপি সদস্য জানান, জেলা শহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। আসামি সুজন তার পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাধে সুজন প্রায়ই তার বাসায় আসা যাওয়া করতেন। প্রায় সময় সুজন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তবে এসবে পাত্তা দেননি তিনি। এক পর্যায়ে গত ১১ অক্টোবর রাতে সুজন নানা বাহানায় ঘরে ঢুকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে মো. সুজন মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত সুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করা হবে।
সুত্র: দেশটিভি নিউজ