অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক ফোরকান হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত
বরগুনার তালতলীতে এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ফোরকান হোসাইনের বিরুদ্ধে। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জুতাপেটার ঘটনা হয়েছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ওই শিক্ষককে জুতাপেটার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, মাদরাসার ছাত্রকে বলাৎকারের এ ঘটনাটি ঘটেছিল এক মাস আগে। বর্তমানে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষক জুতাপেটা করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রা এলাকার খানকায়ে রশিদিয়া নুরানি মাদরাসার সাবেক পরিচালক হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ ফোরকান হোসাইন একই মাদরাসার ১০ বছরের ছাত্রকে গত ১৫ নভেম্বর বলাৎকার করেন। এতে ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকরা গোপনে চিকিৎসা করান। এই বলাৎকারের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষক ফোরকান। তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরে ফের ধামাচাপা দিতে ওই মাদরাসা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার মাদরাসার মধ্যে বিচার করে জুতাপেটা করেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিন থেকে চার জন লোক ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করছে ও শিক্ষক চিৎকার করছেন। এতে নিন্দার ঝড় ওঠে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত থাকায় তার একাধিক স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, এই জুতাপেটায় তার সঠিক বিচার হয়নি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাহলে এমন খারাপ কাজ তিনি আর করবেন না। তারা আরও বলেন, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় একাধিকবার আর্থিক জরিমানা দিয়েছেন ও চাকরি গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাদরাসা সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার বলেন, ‘এই মাদরাসার সুমান ক্ষুণ্ন হবে বলে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যেই মাদরাসা পরিচালক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়েছে।’
তালতলী থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহজালাল বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুত্র: আরটিভি