পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্য থেকে ধরা পড়তে শুরু করেছে জঙ্গিরা। অভিযোগ, মালদহ-মুর্শিদাবাদ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকাগুলিতে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে আনসারুল্লা, জেএমবির মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।
বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসাউল্লাহ বাংলার একের পর এক জঙ্গির গ্রেফতারির পর উঠে আসে খাগড়াগড়কাণ্ডে বহরমপুর জেলে বন্দি তরিকুলের নাম। এই বিষয়ে ধৃত জঙ্গিরা জানায়, জেল থেকেই জঙ্গি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে এই তরিকুল। এমনকি অন্য বন্দিদের মগজধোলাই করে সে। তার কথাতেই জেএমবি ছেড়ে আনসারুল্লাহ বাংলায় যোগ দিয়েছে একাধিক জঙ্গি। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি মনিরুল ও আব্বাস আলির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তারিকুলের।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিল কুখ্যাত জেএমবি জঙ্গি তারিকুল ইসলাম। তবে ঘটনার তিনমাস পরেই অসমের বাসিন্দা তথা আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য নুর ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে সে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ২০১৫ সালে এএনআইএ তরিকুলকে গ্রেফতার করে। বিচারপর্ব শেষে তার দশ বছরের সাজা হয়। জেলে থাকাকালীন সে হাতে গোনা কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। তাদের মধ্যে অন্যতম এই নুর।
তবে জেলে বসেই বিশ্বস্ত নুরের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ রেখে এবিটি সংগঠনের কাছ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারিকুল। অভিযোগ, নুর ইসলামের ফোন ঘেটে পাওয়া গিয়েছে এইসব তথ্য। যা পাওয়ার পরেই অসম এসটিএফের আধিকারিকরা তারিকুলকে নুরের সামনে বসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তাদেরকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসা করলে এবিটি সংগঠনের ব্যাপারে আরও একাধিক গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা।
তারিকুলই রাজ্যে এবিটি সংগঠনকে সাজানোর মূল দায়িত্বে ছিল। তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেঙ্গল এসটিএফের অফিসাররা জানতে পেরেছেন, এবিটি জঙ্গি সংগঠনের বিস্তারের জন্য জেলে বসেই টাকা তোলা শুরু করেছিল তারিকুল। এই টাকা তোলার কাজ সে নুর ছাড়াও হরিহরপাড়ার আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে কাজে লাগাতে শুরু করে। নুরের মাধ্যমে রাজ্যের পাশাপশি অসমের এবিটি নেটওয়ার্ক চাঙ্গা করে ফেলে তারিকুল। নুর ইসলাম ছিল তারিকুলের প্রধান অস্ত্র। নুরকে গ্রেফতারির পর তার মোবাইল খতিয়ে তারিকুলের সঙ্গে তার একাধিক কথোপকথনের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা।
সুত্র: কলকতা ট্রিবিউন