একে-৪৭? অস্ত্রভান্ডারই বা কোথায় লুকোনো রয়েছে? এরা হদিস পেতে অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র চার সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে নিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
বৃহস্পতিবার চার জনকে বহরমপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে আদালত চত্বরে এসে পৌঁছয় একের পর এক গাড়ি। গাড়ি থেকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় চার জঙ্গিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের ভিতরে। চার জনকে ১৪ দিনের জন্য এসটিএফের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত জঙ্গি তারিকুল ইসলামকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এসটিএফ। নওদা থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি সাজিবুল ইসলাম এবং মুস্তাকিম মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়েও। তাদের কাছ থেকেই একে-৪৭ কেনার কথা জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। সে ব্যাপারে আরও তথ্য পেতেই আনসারুল্লার এ বার চার জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে।
ধৃত চার জঙ্গির নাম আব্বাস আলি, মিনারুল শেখ, শাদ রাডি এবং নুর ইসলাম। তাদের মধ্যে আব্বাস আলি, মিনারুল শেখকে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদ থেকে। মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকার ভোটার তালিকায় নাম ছিল শাদ রাডির। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরল থেকে। এর আগে অসমের গুয়াহাটি জেলে চার জনকে জেরা করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, ‘‘চার জনকে সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বেঙ্গল এসটিএফের তরফে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।’’
সুত্রঃ আনন্দ বাজার