বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের সঙ্গে যে অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীরও যোগাযোগ ছিল, আগেই তার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তদন্তে কিছু বেশ কিছু কল রেকর্ড এবং ভয়েস মেসেজও উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মুম্বই জেলে বন্দি এক জঙ্গির সঙ্গেও গ্রেপ্তারকৃতদের কথা হয়েছিল। তা যাচাই করতেই ধৃতদের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী জঙ্গি-যোগে ধৃত আব্বাস আলি, মিনারুল শেখ, শাদ রাডি ও নূর ইসলামকে হেফাজতে নিয়েছিল বেঙ্গল এসটিএফ। বৃহস্পতিবার এই চার জন ছাড়া খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য তারিকুল ইসলামকেও আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালতে তদন্তকারীদের ধৃতদের তিন জনের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের আবেদন জানান। বহরমপুর আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী সপ্তাহের সোমবার অথবা মঙ্গলবার দু’জন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে হয়তো কিছু যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। আর কী কী তথ্য সামনে আসে, তা জানার জন্যই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিন জন আসামির কণ্ঠস্বরের নমুনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তা গ্রাহ্য হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়েছে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য।’’
সুত্র: আনন্দ বাজার