প্রতীকী ছবি
মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। চিকিৎসার জন্য পেডিয়াট্রিক, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি ডিপার্টমেন্ট মিলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য বলে জানিয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি।
ঢামেক পরিচালক বলেন, মেয়েটির চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার চিকিৎসার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার শিশুর গলাসহ শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তবে গলায় আঘাত বেশি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে শিশুটিকে। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ দিকে ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮) ও বোনের শ্বশুর হিটু মিয়াকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মাগুরা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে মাগুরা সদর থানার ওসি আয়ুব আলী জানান।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। শিশুটি কয়েক দিন আগে তার বড় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে, শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।