হিজবুত তাহ্রীরের মতো জঙ্গি সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে মিছিল করেছে, যা উদ্বেগজনক। অসংখ্য মানুষের জীবন দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা জঙ্গিবাদের আখড়া বানানোর জন্য নয়। নিষিদ্ধ হিজবুত তাহ্রীর বায়তুল মোকাররমের সামনে মিছিল করছে, তখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা দেখছি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা কেন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তার জবাব দিতে হবে।’ ঢাকায় অন্তত তিনটি বড় আকারের মিছিলও করেছে সংগঠনটি। এসব মিছিলে ঢাকার অনেক নামিদামি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, নিষিদ্ধ থাকার পরও হিযবুত তাহরীর তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। আগে তাদের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন কিশোর-তরুণদেরও মগজ ধোলাই করে নিজেদের দলে ভেড়ানোর কাজ করছে। তাদের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য। গোপনে গোপনে সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে হিযবুত তাহরীর। তারা এখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও সদস্য বানাচ্ছে। বর্তমানে তারা কথিত জিহাদের কথা বলছে। ঢাকার একাধিক মিছিলের ‘আপস না জিহাদ’ বলে স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। এসব মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েক হাজার সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিশোর-তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের প্রকাশ্য কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার মোটেও লক্ষণ নয় ফলে দেশে হিজবুত তাহ্রীর মতো আরো উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি হতে পারে। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কী? হবে সেটাই প্রশ্ন।
হিযবুত তাহ্রীরের কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কি ব্যর্থ
previous post
