ভারতের কাশ্মিরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (২৩ এপ্রিল) নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তিন সন্দেহভাজন জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছে। এদের সবাই লস্কর-ই-তৈয়বা’র সঙ্গে জড়িত এবং অন্তত দুইজন বিদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি’র।
এই নির্মম ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈয়বা-র ছদ্ম সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এরইমধ্যে গোটা দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং হামলার পেছনের চক্রান্ত উন্মোচনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। হামলার পরপরই দিল্লি-মুম্বাইয়ের মতো শহরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মিরে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি সেখানে বৈঠকও করেছেন উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে।
অমিত শাহ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করেন। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভারী হৃদয়ে পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানালাম। ভারত কখনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না। এই কাপুরুষোচিত হামলার দোষীরা রেহাই পাবে না।’
এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দিল্লি ফিরেছেন। তিনিও পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
এদিকে, এরইমধ্যে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। অপরদিকে, জম্মু ও কাশ্মিরে আটকে পড়া পর্যটকদের বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এয়ারলাইনগুলোকে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনুরোধ করেছে।
বেঁচে ফিরেছেন এমন কিছু পর্যটক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হামলাকারীরা এসে অতর্কিত গুলি চালিয়ে পুরুষদের হত্যা করে। গেল কয়েক বছরে হিমালয়ান অঞ্চলে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
সুত্র: যমুনা টিভি