ভারত-শাসিত কাশ্মীরে গত ২৭ এপ্রিলে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। যা ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ইতিপূর্বে সংঘটিত সশস্ত্র হামলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। ভারতের দাবি, পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী টিআরএফ হলো পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী, লস্কর-ই তৈয়বা (এলটিই) এর একটি শাখা। জঙ্গি গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হামলার দায় স্বীকার করায় সমস্যা আরো জটিল হয়। ভারত কোন তদন্ত ছাড়াই একতরফাভাবে মে মাসের ৬ তারিখে পাকিস্তানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হিসেবে পাকিস্তানের কাশ্মীর-শাসিত অঞ্চলের অভ্যন্তরে কথিত জঙ্গি শিবিরগুলো লক্ষ করে সামরিক হামলা ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান শুরু করে। শুরু হয় দুই চিরশত্রু পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, বাকযুদ্ধ ও সামরিক সংঘাত, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমনের ক্ষেত্র তৈরি, এবং পারমাণবিক শক্তির দেশ দুটির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ। সীমান্তে সামরিক হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষজন মারা পড়েছেন, উভয় পক্ষই আধুনিক সমরাস্ত্র, তথা ড্রোন ও অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছে, যেটিকে কয়েক দশকের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ দুটির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ হিসেবে মনে করছেন যুদ্ধ কৌশল বিশেষজ্ঞরা।
