৫ অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে অভিযুক্ত ১২ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী, আলোচিত দশট্রাক অস্ত্র মামলার ৮ জন আসামি এবং অন্তত দশটি সংগঠনের সদস্য মিলিয়ে মোট ৩৪৬ জন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
গত জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কারাসদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ৫টি জেল থেকে ২ হাজার দুইশ বন্দি পালিয়েছিল এর মধ্যে এখনও সাতশত জন পলাতক রয়েছে। পলাতকদের মধ্যে ৬ জন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল বলে জানান কারা মহাপরিদর্শক।
অতীতে যে বড় সন্ত্রাসী হামলা, হত্যাকাণ্ড, দেশজুড়ে বোমা হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। কিছু ঘটনায় ঘটনায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনকে দায় স্বীকার করতেও দেখা গেছে। সারাদেশে ৬৩ জেলায় এক যোগে বোমা হামলা হয়েছে, ব্লগার লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, বিদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হলি আর্টিজানে হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বেশ কিছু ঘটনায় মারাত্মক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল জঙ্গি তৎপরতা ঘিরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
বাংলাদেশে ৫ই অগাস্ট পরবর্তী বেশ কিছু ঘ টনায় উগ্রবাদী তৎপরতা দৃশ্যমান হয়েছে। খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে মার্চ ফর খিলাফত কর্মসূচি পালন করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর। গত আট মাসে মাজার ভাঙা, নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিভিন্ন জায়গায় মব তৈরি এবং সবশেষ ফিলিস্তিনের সমর্থনে কর্মসূচির দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে।
সুত্র: বিবিসি বাংলা