শামিন মাহফুজ
জঙ্গিবাদে জড়িত অভিযোগে শামিন মাহফুজকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর একটি দল। পরে সাভার থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শামিনকে দুই বছর আগে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তখন বলা হয়, তিনি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে একটি উগ্রবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি তিনি জামিনে ছাড়া পান।
পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বিভাগের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল সমকালকে বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাভার থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এর আগে আরও একজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এটিইউ সূত্র জানায়, ফয়সাল নামে এক ব্যবসায়ীকে ২ জুলাই সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ৫ জুলাই সাভার থানায় ফয়সালসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন এটিইউর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আল ইমরান ওরফে ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার, রেজাউল করিম আবরার, আসিফ আদনান, জাকারিয়া মাসুদ ও সানাফ হোসেন। তারা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। শামিন মাহফুজ এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তিনি ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। টিটিপি পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সক্রিয় সংগঠনটি বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত।
সাভার থানায় করা মামলার ভাষ্য অনুযায়ী, ব্যবসায়ী ফয়সাল উগ্রবাদী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর সহযোগী আহমেদ জুবায়ের যুবরাজসহ পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে যান। পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তান সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযানে যুবরাজ নিহত হন। পরে ফয়সাল গত ১০ নভেম্বর আফগানিস্তান থেকে তুরখাম স্থলসীমান্ত দিয়ে আবার পাকিস্তানে যান। পাকিস্তানের করাচি থেকে দুবাই হয়ে ১৬ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন।
এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে শামিনকে স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সেটা ছিল শামিনের তৃতীয় দফা গ্রেপ্তার। তখন সিটিটিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, শামিন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা। এই সংগঠন দেশের পার্বত্য এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছিল।
সুত্র: সমকাল