মোঃ ফয়সাল হাসান, চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন ওমরশাহ পাড়া এলাকায় ইমামে আজম আবু হানিফা (রহঃ) সুন্নিয়া মডেল মাদ্রাসায় ঘটে গেল এক বেদনাদায়ক ও কলঙ্কজনক ঘটনা। ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক হাফেজ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে হেফজ বিভাগের এক ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী, তৌসিফ হোসেন, কে একাধিকবার ধর্ষণ (বলাৎকার) করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ এই জঘন্য ঘটনা ঘটেছে ২০২৫ সালের ২৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী অবশেষে ২৭ জুলাই রবিবার রাতে পরিবারের কাছে ভয়ঙ্কর সত্যটি প্রকাশ করে। ভুক্তভোগীর কথায় উঠে আসে, এর আগেও একই শিক্ষক তাকে একাধিকবার এই পাশবিক নির্যাতনের শিকার করেছেন।
ঘটনার কথা শুনেই ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ওমর ফারুককে আটক করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নেয়। এ সময় মাদ্রাসার কক্ষে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষক ওমর ফারুক অপরাধ স্বীকারও করেন।
পরে বন্দর থানা পুলিশ নিয়মিত মামলা রুজু করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে।
এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় সৃষ্টি হয় চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য। স্থানীয়রা জানান, এই শিক্ষক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে এমন অশ্লীল ও নিন্দনীয় আচরণের অভিযোগ আগেও একাধিকবার উঠেছিল, কিন্তু তখন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজ ঘটলো এই করুণ পরিণতি।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসি, দাবি করেন। তারা বলেন,ধর্মের নামে পবিত্র প্রতিষ্ঠানকে যারা কলুষিত করে, তাদের সমাজে ঠাঁই নেই। শিশুদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ রক্ষায় এমন অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।
সুত্রঃ দৈনিক তৃতীয় মাত্রা