সাধারন মানুষ বা মিডিয়ার ধারণা ছিল যে দেশে জঙ্গিবাদে জড়িত একটা বড় অংশ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীরা এবং জঙ্গি তৈরির উৎপত্তি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক । কিন্তু ঢাকায় ২০১৬ সালে গুলশানে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর হামলাকারীদের পরিচয় জানার পর অনেকেই অবাক হয়েছিলেন কারণ তাদের বেশিরভাগই ছিল ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কারো কারো পারিবারিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত সচ্ছল। এছাড়াও পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় জঙ্গিবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ৫৬ শতাংশ আসছে সাধারণ শিক্ষা থেকে এবং ২২ শতাংশ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। সাধারণ শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে গত ১০ বছরে তৈরি হয়েছে। আইএসের উত্থানের পর জঙ্গি সংগঠনগুলোর রিক্রুটে একটা পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশে জঙ্গি রিক্রুটকারীরা সাধারণ শিক্ষায় পড়ালেখা করা এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে – এমন ব্যক্তিদেরই রিক্রুট করছে। যেটা সমাজের জন্য খুবই বিপজ্জনক। জেএমবিতে মাদ্রাসার পাশাপাশি পলিটেকনিক এবং সাধারণ শিক্ষা থেকে আসা লোকও ছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) জঙ্গি তালিকায় ডাক্তর, ইঞ্জিনিয়ার, বুয়েট ছাত্র, ভার্সিটির শিক্ষকদের জড়িত থাকার অভিযোগ বিদ্যমান। সমাজের ধারণা দরিদ্র অবহেলিত অংশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা থেকেই জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, এ কথা বলার সুযোগ নেই।
