জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ২০০ বন্দি পালিয়ে গিয়েছিল। সেই বন্দিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা ছিলেন। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জন ফিরে এসেছে। তবে এখনো ৭০০ জন পলাতক রয়েছে, যাদের মধ্যে ৭০ জন অতি ঝুঁকিপূর্ণ, যেমন- জঙ্গি, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ৫ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনো ১ হাজার ৪১৯টি লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এছাড়া লুট হওয়া ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদের মধ্যে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৬টি গোলাবারুদ উদ্ধার হলেও ২ লাখ ৬৩ হাজার ১৫৩টি গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি।
আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে চাইনিজ লুট হয়েছিল ১ হাজার ১০৬টি। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৯৭৭টি, এখনো উদ্ধার হয়নি ১২৯টি। ১২ বোরের শটগান লুট হয়েছিল ২ হাজার ৭৬টি, তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯টি। এখনো ৪১৭টি শটগান উদ্ধার করা যায়নি। ৯এমএম পিস্তল লুট হয়েছিল ১ হাজার ৯২টি, উদ্ধার হয়েছে ৬২০টি, এখনো ৪৭২টি ৯এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়নি। লুট হওয়া ৫৩৯টি চাইনিজ পিস্তলের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৩১৮টি, এখনো ২২১টি চাইনিজ পিস্তল উদ্ধার হয়নি।
সরকার পতনের পরজেল পালানো জঙ্গি এবং লুট হওয়া অস্ত্র কোথায়? আসামিদের মধ্যে ১৭৪ জন জঙ্গি এবং ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে। সর্তক থাকতে হবে এই পালানো জঙ্গিরা যেন লুট করা অস্ত্র দিয়ে সাধারন মানুষকে রক্তাত করতে না পারে।
