সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জুগীদহ তাহফিজুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের উপর ধারাবাহিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুন্নাফকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মুন্নাফ উপজেলার গাড়াদহ বাজার পাড়ার বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী জানান, সোমবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একাধিক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে এবং মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মুন্নাফ গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করতেন এবং ঘটনা প্রকাশ করলে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার হুমকি দিতেন।
এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে মাদ্রাসা ছাড়তে শুরু করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনা জানাজানি হলে শতাধিক মানুষ মাদ্রাসায় গিয়ে বিক্ষোভ করে এবং উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসার আরও দুই শিক্ষককে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীরা জানান, অভিযুক্ত মুন্নাফ দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন। বারবার জানানো হলেও সুপার ও সভাপতি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন।
অভিযোগ রয়েছে, মুন্নাফ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেছেন— ‘শয়তান ভর করায় আমি এ কাজ করেছি।’
সুত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর