ধর্ষণের শিকার হওয়া এক শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন ভাষা ব্যবহার ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ঘটা এই ঘটনার একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটিতে ডাক্তার আক্রমণাত্মক ভাষায় বলছেন, ‘‘এই ব্যাটা থানা যায় পড়ে রহিবো। বুঝিন নাই।
কাগজ খান নিয়ে থানা যায় পরে রহিস। কি বালটা করিব করিস। হাসপাতালটা তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছো। চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবা।
বেলেট কিনে নিয়ে যায় বাল কামাবা। মান সম্মান তোমাদের কিছু নাই রে! একবারে নাক ফাটায় দিবো। থতমা উড়াই দেবো। নিজে মারামারি করার চিকিৎসাও করো। মুই মাইরা দিবা পারো। একদম থতমা উল্টায় দিম।’’
ভিডিওটি ভাইরালের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে এ ধরনের আচরণে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, “মেডিকেল সাইন্সের সব থেকে বড় বিদ্যা হলো কাউন্সিল, রোগীর এবং রোগীর স্বজনদের সাথে ভাল ব্যাবহার, প্রপার কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রায় ৭০-৭৫% পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট করা যায়।
একজন BCS সিনিয়র চিকিৎসক হয় পেশেন্টের সাথে মোটেও এই ধরনের লেংগুয়েজ এ কথা বলা উচিত হয়নি। আপনার মতন এমন গুটি কয়েকজন এর জন্য আমাদের গোটা চিকিৎসক সমাজ এর উপর ব্লেইম উঠে। সংশোধন হউন, সন্মান এমনি ই আসবে।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে অন্য একজন লিখেছেন, ‘এই ডাক্তারের ভাষা খুবই নগ্ন। আমি একজন উপ সহকারী কৃষি অফিসার পরিচয় দেওয়ার পরেও আমার সাথে উনি একটা সময় খুব খারাপ ব্যবহার করছেন। একটা ডাক্তারের এরকম মুখের ভাষা থাকতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন- বাপার পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের মূল দায়িত্ব হলো রোগীর সেবা করা। কিন্তু তার ভাষা, জ্ঞান এবং আচরণ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একজন ডাক্তারের জন্য ধৈর্য একটি বড় গুণ। যেমন শিক্ষকের মধ্যে কিছু গুণ থাকা উচিত, তেমনি চিকিৎসকেরও রোগীর প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতিশীল ব্যবহার থাকা আবশ্যক। তাই তার ব্যবহৃত ভাষা কোনোভাবেই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’
সুত্র: কালেরকন্ঠ