বিশ্বের প্রতিটি দেশই কমবেশি সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। মাঝে মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল মিটিং-মিছিলের চেষ্টা করে, নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর ঢাকায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করে। ৫ আগস্টের পর হিযবুত তাহরীর সব সময়ই তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং প্রকাশ্যে এসেছে, তারা মার্চ ফর খেলাফতের যে কর্মসূচি পালনের জন্য সারা শহরে পোস্টার লাগিয়েছে দুই সপ্তাহ আগে থেকে। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আগে থেকেই তৎপর হওয়া উচিত ছিলো। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো উচিত ছিলো। ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কোনো বাধা দেয়নি। ফলে তারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দারা ব্যর্থ হয়েছে। এখনই যদি তাদের তৎপরতা বন্ধ না করা যায় তাহলে এটা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। শুধু বোমা ফাটালেই জঙ্গি হয় না। হিযবুত যেটা করে তা হলো মনস্তাত্বিকভাবে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দেয়। উগ্র মতবাদ ছড়িয়ে দেয়। মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলে। এটা জঙ্গিবাদের প্রধান একটা স্তর। এটা ভয়াবহ ব্যাপার। মানসিকভাবে তারা এমনভাবে পরিবর্তন করে ফেলে যে তারা যেকোনো কাজ করে ফেলতে পারে। জঙ্গিবাদ হচ্ছে ক্যান্সারের মতো প্রাথমকি পর্যায়ে এটা সনাক্ত না হলে বিপদ ভয়াবহ।
মনস্তাত্বিকভাবে জঙ্গিবাদের বিস্তার
previous post
