জঙ্গিবাদ একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা এবং বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের জন্য তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই গ্রহের শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশকে গ্রাস করতে চলেছে জঙ্গিবাদের অবাঞ্ছিত ধ্যান-ধারণা।ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি। অথচ পবিত্র এই ধর্মের নামেও জঙ্গিবাদ থাবা বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জঙ্গিবাদের ধারকবাহকরা পাকিস্তানের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
আফগানিস্তানের পরিণতিও সবার জানা। ইরাক এবং সিরিয়ায় চলছে তাদের বীভৎসতার মহোৎসব। সোমালিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের অস্তিত্বকে তারা চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করছে জঙ্গিবাদের অপচর্চা। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছিল মানবতার শত্রুরা। তারাই দেশে ইসলামোফোবিয়া সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার অনুপ্রবেশ করানো পায়তারা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্যত জিহাদ ঘোষণা করেছে বিপথগামী চিন্তা-চেতনার এসব অনুসারী।
মানব সৃষ্ট জঙ্গিবাদ নামক ভাইরাসটি দমনে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। ঘৃণ্য এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে। তাদের নোংরামি থেকে রক্ষা পাওয়ার সেটিই হতে পারে প্রকৃষ্ট উপায়।
