শিশু ও নারীর বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা আজ এমন এক ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে শ্রেণি, ধর্ম-বর্ণ বা অঞ্চল কোনো সীমারেখাই নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না।
ধর্ষণ ঘটনায় সমাজের একটি বড় অংশ তখনো নারীকে দোষারোপ করে। ‘পোশাকের দোষ,’ ‘রাতে বাইরে ছিল,’ ‘উসকানি দিয়েছে’ এসব মন্তব্য আজও সামাজিক ও মিডিয়া পরিসরে শোনা যায়। অথচ, ২০২৫ সালের সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ধর্মীয় পোশাক পরা নারী ও শিশুদের মধ্যেও ধর্ষণের শিকার হওয়ার হার ৩১ শতাংশ। এটি প্রমাণ করে, সমস্যা নারীর পোশাকে নয়, বরং পুরুষের মানসিকতায় ও সমাজের নৈতিক পতন।
প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে অন্তত একজন জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হন। গ্রামীণ সমাজে এ সংখ্যা আরো বেশি। ধর্ষণ, নির্যাতিন, ভয়, নীরবতা ও অবিশ্বাস নারীদের নিত্যসঙ্গী। নারীরা শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন, কিন্তু বৈবাহিক ধর্ষণকে এখনো অপরাধ হিসেবে গণ্য না করায় তারা আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত। নারী জানে বিচার চাইলে তাকে সামাজিকভাবে অপমান, দোষারোপ এবং প্রতিশোধের হুমকি সহ্য করতে হবে।নারীদের ভয় ও লজ্জাই অপরাধীদের রক্ষা দেয়, আর সমাজ অজানার আড়ালে প্রতিনিয়ত আরো নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে।ফলশ্রুতিতে তাদের শৈশব, শিক্ষা এবং নিরাপত্তা সবকিছুই হারিয়ে যায়।
