প্রথমে ঘরে ঢুকে ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে ধর্ষণ। এরপর মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি। বিষয়টি জানাজানি হলে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারীকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক এক যুবক ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। মামলা দায়েরের দুই সপ্তাহেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, দুই মাস আগে দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর এলাকায় সোহাগ সরদারের বাড়িতে ভাড়া ওঠেন প্রবাসীর স্ত্রী ওই গৃহবধূ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার ঘরে ঢুকে বাড়ির মালিক সোহাগ সরদার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
পরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সোহাগ।
এরপর গত ১ অক্টোবর নির্যাতিতাকে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে মাথার চুল কেটে দেয়ার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার গরম রড দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ ওঠে সোহাগ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় ওই গৃহবধূকে প্রথমে মাদারীপুর জেলা হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে।
আরও পড়ুন: পান খাওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ১
এ ঘটনায় গৃহবধূর মা বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর সদর মডেল থানায় বাড়ির মালিকসহ ৭ জনের নামে ধর্ষণ ও নির্যাতন আইনে মামলা করেন। নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, ‘ঘটনার পর এলাকার প্রভাবশালীরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ঘটনার পর ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের ধরতে চলছে অভিযান। এই ঘটনায় সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে নির্যাতিতা গৃহবধূকে।’
এদিকে, গৃহবধূকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
সুত্রঃ সময় টিভি